আজ || রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
  শ্যামনগরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে বসতবাড়িতে আগুনের ঘটনায় থানায় মামলা       শ্যামনগরে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতা ড. মনিরুজ্জামানের মতবিনিময়       শ্যামনগরে দৈনিক দেশ জনতার প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন       রমজাননগরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা       শ্যামনগরে ইসলামী আন্দোলনের নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন       সাতক্ষীরা-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোস্তফা আল মামুনের প্রচারণা জমে উঠেছে       শ্যামনগর ভাব টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী কমপিটেন্ট       রামজীবনপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনের বৈঠক অনুষ্ঠিত       কালিগঞ্জে মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ, অভিযুক্ত স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক       সাতক্ষীরা-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোস্তফা আল মামুনের গণসংযোগ ও পথসভা    
 


ইমন-আফিফের ব্যাটে ঢাকাকে হারিয়ে শীর্ষ চারে খুলনা

স্পোর্টস ডেস্ক

আগে ব্যাট করে ভালো সংগ্রহ পায়নি হারের বৃত্তে আটকে থাকা দুর্দান্ত ঢাকা। কোনোমতে লড়াই করার পুঁজি পেলেও বোলারদের ব্যর্থতায় ডুবলো তারা।
অন্যদিকে পারভেজ হাসান ইমন ও আফিফ হোসেনের দুটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে ভর করে সহজ জয়ে শেষ চারে যাওয়ার লড়িয়ে টিকে রইলো খুলনা টাইগার্স।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ ২০২৪ বিপিএলের ৩৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ঢাকা ও খুলনা। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে ঢাকা। জবাবে ৫ উইকেট ও ২৮ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় খুলনা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ওপেনার আনামুল হক বিজয়ের উইকেট হারায় খুলনা। ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলামের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফেরেন খুলনার অধিনায়ক বিজয়। আরেক ওপেনার এভিন লুইসকেও (৪) ফেরান শরিফুল। তবে পরের তিন ব্যাটারই পান রানের দেখা।

ইমন ও শাই হোপ মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৯ রান। ইমন ৩০ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় ৪০ রান করে লঙ্কান বোলার চতুরাঙ্গা ডি সিলভার শিকার হন। শাই হোপ দলকে ৯৯ রানে রেখে তাসকিন আহমেদের বলে চতুরাঙ্গার হাতে ক্যাচ তুলে দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস।

খুলনার সহজ জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন আফিফ। মাত্র ২১ বলে অপরাজিত ৪৩ রানের ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ঝোড়ো ইনিংসটি ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় সাজান তিনি। ১৫তম ওভারে তাকে রেখে মাহমুদুল হাসান জয় (২) দ্রুত ফিরলেও আফিফের ব্যাটে জয় পেতে সমস্যা হয়নি খুলনার।

ঢাকার হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট পান শরিফুল ও তাসকিন।

এর আগে ঢাকার শুরুটা ভালো করতে পারেননি নাঈম শেখ। মাত্র ৫ রানে তিনি উইকেট হারান পারনেলের বলে। পরের বলেই বিদায় নেন সাইফ হাসান। আরেক ওপেনার অ্যাডাম রসিংটন কিছুক্ষণ লড়লেও ১৮ রানের বেশি করতে পারেননি। চারে নামা অ্যালেক্স রস কিছুক্ষণ থিতু হন। কিন্ত ২৫ করে রান আউট হন তিনি। একই রানে বিদায় নেন ইরফান শুক্কুরও।

শেষদিকে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসাইনের ব্যাট থেকে কিছু রান আসে। ২৩ বলে তিনি করেন ২৬ রান। ১১ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন চতুরাঙ্গা ডি সিলভা।

খুলনা টাইগার্সের হয়ে দারুণ বোলিং করেন পারনেল। ৪ ওভারে ১৯ রান খরচায় তিনি নেন ৩ উইকেট। সমান উইকেট পান মুকিদুল ইসলামও। তিনি খরচ করেন ১৮ রান।

১০ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এলো খুলনা। সমান পয়েন্ট ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সেরও। তবে এই দুই দল খুলনার চেয়ে একটি করে কম ম্যাচ খেলেছে। আর ১১ ম্যাচে ১০ম হারে ২ পয়েন্ট পাওয়া ঢাকা রইলো তলানিতেই। ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের একধাপ উপরে সিলেট স্ট্রাইকার্স।


Top