আজ || বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম :
  শ্যামনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও মাদকসহ ৪ জন আটক       অসহায় পরিবারের পাশে সুন্দরবন ছায়া শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও মুন্সিগঞ্জ সিসি কমিটি       পরকীয়ার ঘর ছাড়লেন মা অযত্নে অবহেলায় কোলের শিশু        বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে শ্যামনগরে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত       দেবহাটার তদন্তাধীন মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন       শ্যামনগরে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত       বংশীপুর দারুল কারীম মাদ্রাসায় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ইসলামিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত       নওয়াবেঁকী কলেজের সভাপতির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন       কলকাতায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত       পাঁচ দফা দাবিতে ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম    
 


সুন্দরবনে পরিবারের সঙ্গ: কাইয়ুম রাজের আনন্দঘন ভ্রমণ

আমি এবিএম কাইয়ুম রাজ। এবারের ঈদে আমি নানুবাড়ি গিয়েছিলাম। ঈদের আনন্দ পরিবারের সবার সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলাম। ঈদের কয়েকদিন পর নানুবাড়ি থেকেই সবাইকে নিয়ে আমরা রওনা দিলাম সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে।

 

আমাদের টিমটা ছিল বেশ বড়—মামাতো ভাই ছাব্বির, খালাতো ভাই আখলাকুর, মামা ফরিদ, মামাতো বোন মর্জিনা, শিরিনা, মিথিলা, বোন শাপরা, মর্জিনার বর হামজা দুলাভাই, দুইজন মামনি, ভাগ্নে সোহান আর ভাগ্নি সোহানা—সবাই মিলে গিয়েছিলাম।

 

নৌকায় চেপে আমরা সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে ঘুরতে ঘুরতে প্রকৃতির সৌন্দর্যে হারিয়ে গিয়েছিলাম। চারপাশে শুধু পানি আর গাছ, মাঝে মাঝে দূরে জঙ্গলের শব্দ। কেউ কেউ ছবি তুলছিল, কেউ আবার শুধু বসে বসে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করছিল।

 

এক জায়গায় গিয়ে আমরা সবাই মিলে নেমে পড়লাম। তখন শুরু হলো গাছে ওঠার প্রতিযোগিতা। ছাব্বির, আখলাকুর, আমি, এমনকি মর্জিনা, শিরিনা, মিথিলা, শাপলা—সবাই গাছে উঠেছিলাম। সবাই খুব মজা করছিল, আর কেউ কেউ নিচে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল। আমাদের হাসি-তামাশায় চারপাশের বাতাস প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল।

 

তারপর সবাই মিলে বসে মিষ্টি খেলাম, ঠান্ডা কোক খাওয়া হলো। ভাগ্নে সোহান আর ভাগ্নি সোহানা দৌড়াদৌড়ি করে সবাইকে জ্বালিয়ে দিচ্ছিল, মামনিরা বারবার ডাকছিল, “এই সোহান, নামো নিচে!” কিন্তু কে শোনে কার কথা!

 

বিকেলের দিকে আমরা আবার নৌকায় উঠলাম। নদীর বাতাসে মনটা যেন একদম হালকা হয়ে গেল। মামা ফরিদ তখন আমাদের সুন্দরবনের কিছু পুরনো গল্প শোনালেন—জলদস্যু, বাঘ আর হরিণের গল্প।

 

এই ভ্রমণটা আমাদের জীবনের এক সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকবে। এত আত্মীয় একসঙ্গে মিলে এমন সুন্দর পরিবেশে সময় কাটানো—এটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।


Top