আজ || শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
শিরোনাম :
  বংশীপুর দারুল কারীম মাদ্রাসায় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ইসলামিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত       নওয়াবেঁকী কলেজের সভাপতির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন       কলকাতায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত       পাঁচ দফা দাবিতে ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম       শ্যামনগরে জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত       বাঁধনহারা সাহিত্য পরিষদের দুই যুগ পূর্তি ও সাহিত্য পুরস্কার প্রদান উৎসব অনুষ্ঠিত       শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান- গাজী নজরুল ইসলাম       ১১ গুণীজন পাচ্ছেন বাঁধনহারা সাহিত্য পুরস্কার—২০২৫       ১১ গুণীজন পাচ্ছেন বাঁধনহারা সাহিত্য পুরস্কার—২০২৫       শ্যামনগরের সিপিপি টিম লিডারদের মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণ    
 


আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫। আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এইদিনে রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর তৎকালীন পুলিশ নির্মমভাবে গুলিবর্ষণ করে। এতে কয়েকজন ছাত্র শহীদ হন। তাদের মধ্যে সালাম, বরকত, রফিক, শফিউর, জব্বার অন্যতম। তাই দিনটিকে শহীদ দিবস বলা হয়ে থাকে।

 

একুশের প্রথম প্রহরে স্মৃতির মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এরইমধ্যে শহীদ মিনার এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। রাত ১২টা এক মিনিটে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবেন তারা।

 

এরপর উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য, তিন বাহিনীর প্রধানসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা শ্রদ্ধা জানাবেন। রাত ১২টা ৪০ মিনিটে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে শহীদ মিনার।

 

তৎকালীন পূর্ব বাংলার রাজধানী ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে প্রথম ভাষা-বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের মার্চে এ নিয়ে সীমিত পর্যায়ে আন্দোলন হয় এবং ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি এর চরম প্রকাশ ঘটে। ওইদিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলে পুলিশ তাদের ওপর নির্বিকারে গুলি চালায়। এতে কিছু ছাত্র শহীদ হন। এ ঘটনায় নানা নির্যাতন সত্ত্বেও ছাত্রদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ জানাতে পরের দিন ২২ ফেব্রুয়ারি পুনরায় রাজপথে নেমে আসেন।

 

তারা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। ভাষা শহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনার মধ্য দিয়ে ভাষা আন্দোলন আরও বেগবান হয়।

 

১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৭ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। বাংলাকে পাকিস্তানের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সংবিধানে পরিবর্তন আনা হয় ১৯৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। ১৯৮৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ‘বাংলা ভাষা প্রচলন বিল’ পাস হয়। যা কার্যকর করা হয় ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ থেকে।

 

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারিকে সারাবিশ্বে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।


Top