মোঃ মিজানুর রহমান কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশের গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র চীন সরকারের উপহার হিসেবে ঘোষিত এক হাজার শয্যার অত্যাধুনিক হাসপাতালটি তিস্তা বিধৌত অঞ্চল ও অবহেলিত জনপদ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে স্থাপনের প্রাণের এক দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মত হাজারো ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ সড়কে নেমে মানববন্ধন করেছেন। সোমবার (২১এপ্রিল) সকালে চিনা হাসপাতাল বাস্তবায়ন দাবি কমিটির ব্যানারে বড়ভিটা ইউনিয়ন পরিষদের সামনের সড়কে হাজারো ছাত্র -জনতা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন। বাস্তবায়ন দাবি কমিটির আহবায়ক ও সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রউফ এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন,বড়ভিটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও দাবি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্ব ফজলার রহমান,বড়ভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শিক্ষক জামিল হোসেন,দাবি কমিটির সদস্য ও শিক্ষক রুহুল আমীন, হোসাইন মোঃ সেলিম রেজা প্রমুখ। এসময় বক্তাগন বলেন, উপজেলার বড়ভিটা ইউনিয়নের মেলাবর টটুয়ার দাঙ্গায় ৬০ একর সরকারি খাস জমি রয়েছে।এ জায়গায় হাসপাতাল স্থাপন করলে সরকারের কোটি কোটি টাকা অধিকগ্রহন সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি বৃহত্তর রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর মানুষের চিকিৎসা সেবার মধ্যেবর্তী স্থান ও যোগাযোগের মাধ্যম একেবারেই সহজ হবে। যা বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে জলঢাকা -বড়ভিটা হয়ে রংপুর ও ঢাকা অভিমুখী ৬ লেনের রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এতে করে যোগাযোগের একদম সহজ মাধ্যম বড়ভিটা মেলাবর টটুয়ার দাঙ্গায় হাসপাতালটি স্থাপনের জোর দাবি জানানো হয়। তারা আরো বলেন, উত্তর বঙ্গের মধ্যে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ একটি অবহেলিত উপজেলা। এ উপজেলায় দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসরত মানুষ গুলো স্বাস্থ্য- শিক্ষায় এখনো অনেক পিছিয়ে।এখানে নেই কোনো কলকারখানা। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ায় আশঙ্কা জনক হারে বেকারত্বের হার বাড়ছে।অপরাপর এখানকার খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর ও ঢাকায় যেতে হয়। এ চিকিৎসার ব্যায়ভার মিটাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। অনেককে চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করতে হয় । ফলে এখানে চীনা হাসপাতালটি নির্মিত হলে বৃহত্তর রংপুর বিভাগের মানুষ যেমন উপকৃত হবে, তেমনি কর্মসংস্থান হবে অনেক বেকার যুবকের। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস এর সদয় ও সুদৃষ্টি কামনা করেন।