আজ || সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
  শ্যামনগরে দৈনিক দেশ জনতার প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন       রমজাননগরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা       শ্যামনগরে ইসলামী আন্দোলনের নেতার উপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন       সাতক্ষীরা-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোস্তফা আল মামুনের প্রচারণা জমে উঠেছে       শ্যামনগর ভাব টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী কমপিটেন্ট       রামজীবনপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচনের বৈঠক অনুষ্ঠিত       কালিগঞ্জে মহিলা নির্যাতনের অভিযোগ, অভিযুক্ত স্থানীয় হোমিও চিকিৎসক       সাতক্ষীরা-৪ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মোস্তফা আল মামুনের গণসংযোগ ও পথসভা       নবজাতকের উপহার প্রদান অনুষ্ঠান       শ্যামনগরে শহীদ আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী (রহ.)-এর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত    
 


উপজেলা নির্বাচন: চ্যালেঞ্জ নেই, ভালো ভোটের আশা ইসির

ডেস্ক রিপোর্ট:

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। শৃঙ্খলা রক্ষায় সংসদ নির্বাচনের চেয়েও বেশি এফোর্ট দেবে।
এতে আরো ভালো ভোটের আশা দেখছে সংস্থাটি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথমবারের মতো একটি জেলায় একাধিক ধাপে ভোট করার পরিকল্পনা নিয়েছে কমিশন। ফলে অধিক হারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের জন্য অন্য জেলার দারস্থ হতে হবে না। এতে অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা যাবে। মূলত, ভোটে যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও যেন সহজে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া যায়, তাই এই কৌশল নিয়েছে সংস্থাটি।

অতীতে বিভাগ অনুযায়ী জেলাভিত্তিক উপজেলাগুলোর নির্বাচন হয়েছে। এতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অন্য এলাকা থেকে নিয়োগ করা হতো। এবারও কয়েক ধাপে ভোট হলেও একই এলাকাকে একাধিক ধাপে বিন্যাস করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচন ধাপে ধাপে হবে বিধায় শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা বেশি শক্তি নিয়োগ করার সুযোগ পাবো।

তিনি বলেন, চারটি ধাপে নির্বাচন হওয়াতে কমিশন মনে করছে যে এতে সুবিধা আছে। এছাড়া একই জেলার মধ্যে একাধিক ধাপে নির্বাচন দেওয়ায় একই জেলার পুলিশ,আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসন দিয়ে কাজটা করা অনেক সহজ হবে। আগে যেভাবে নির্বাচন করা হয়েছে, এক অঞ্চলে নির্বাচনের জন্য অন্য অঞ্চলের থেকে পুলিশ আনতে হতো। সেক্ষেত্রে পুলিশের যাতায়াত বা অন্যান্য প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করে তাদের যাতায়াত ও থাকার একটা অসুবিধা হয়। আর আমরা যদি একই জেলার মধ্যে ধাপে ধাপে নির্বাচন করি, তাহলে সংশ্লিষ্ট জেলার যে প্রশাসনিক ক্ষমতা আছে সে সংখ্যা দিয়েই আমরা ওই জেলার নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারে। এজন্যই কমিশন মনে করছে যে ধাপে ধাপে একই জেলার ভেতরে নির্বাচন হলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মুভমেন্টে বিশেষ সুবিধা পাবে। এতে নির্বাচনী ব্যয়ও কিছুটা কমতে পারে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, সংসদ নির্বাচন যেভাবে করেছি উপজেলা নির্বাচন তার চেয়ে ভালো ভাবে করব। কারণ জাতীয় নির্বাচন একসঙ্গে ৩০০ জায়গায় এফোর্ট দিতে হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে করব। প্রতি ধাপে একশ’র মতো উপজেলায় নির্বাচন হবে। এতে আশাকরি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।

এ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জেলা পর্যায়েও একাধিক ধাপে ভোট করার পরিকল্পনা এবারই প্রথম। আমার সহকর্মীরা চমৎকার একটি কৌশল বের করেছেন। আশাকরি, এতে ইতিবাচক ফলাফল আসবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে ও চতুর্থ ধাপে ২৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রথম ধাপে ১৫৩টি, দ্বিতীয় ধাপে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপে ১১১টি ও চতুর্থ ধাপে ৫২টি; মোট ৪৮১টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে কমিশন। দেশে বর্তমানে উপজেলা রয়েছে ৪৯৫টি। অবশিষ্টগুলোতে পরবর্তীতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


Top