আজ || শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
শিরোনাম :
  শ্যামনগরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্র ও মাদকসহ ৪ জন আটক       অসহায় পরিবারের পাশে সুন্দরবন ছায়া শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড ও মুন্সিগঞ্জ সিসি কমিটি       পরকীয়ার ঘর ছাড়লেন মা অযত্নে অবহেলায় কোলের শিশু        বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫ উপলক্ষে শ্যামনগরে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত       দেবহাটার তদন্তাধীন মামলা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন       শ্যামনগরে সাংবাদিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত       বংশীপুর দারুল কারীম মাদ্রাসায় পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ ও ইসলামিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত       নওয়াবেঁকী কলেজের সভাপতির অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন       কলকাতায় বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত       পাঁচ দফা দাবিতে ববির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম    
 


কালের সাক্ষী জাহাজঘাটা নৌদুর্গ।

এবিএম কাইয়ুম রাজ, বিশেষ প্রতিনিধি:-

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার খানপুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক জাহাজঘাটা নৌদুর্গ। শ্যামনগর উপজেলা সদরের প্রায় ৪ কিলোমিটার উত্তরে যমুনা-ইছামতি নদীর পূর্ব পাড়ে অবস্থিত এই দুর্গটি নির্মাণ করেছিলেন বাংলার বিখ্যাত রাজা প্রতাপাদিত্য। মুঘলদের আক্রমণ প্রতিহত করতে তিনি এই শক্তিশালী নৌঘাঁটি স্থাপন করেন। এটি ছিল তার প্রধান কার্যালয় এবং পোতাশ্রয়।

 

জাহাজঘাটা নৌদুর্গে রাজা প্রতাপাদিত্যের রণতরী নির্মাণ ও মেরামতের কাজ হতো। দুর্গটি তিনতলা বিশিষ্ট হলেও বর্তমানে নিচের দুই তলা মাটির নিচে বিলীন হয়ে গেছে। উপরের একটি তলা এখনও ইতিহাসের নিদর্শন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ধারণা করা হয়, এটি ১৬ শতকের শেষ দশকে নির্মিত হয়েছিল।

 

বর্তমানে দেখা যায় একটি ভবনের ধ্বংসাবশেষ। লবণাক্ততার কারণে ভবনের চুন-সুরকি ধসে পড়ছে। উত্তর-দক্ষিণে লম্বা ভবনটিতে ছয়টি কক্ষ রয়েছে—অফিস, মালখানা, শয়নকক্ষ ও স্নানাগারসহ বিভিন্ন ব্যবহারের স্থান। ভবনের একাংশে কোনো জানালা ছিল না। ছাদের গম্বুজে বড় বড় ছিদ্র ছিল যেখানে স্বচ্ছ কাঁচ বা স্ফটিক বসানো ছিল, যা দিয়ে আলো প্রবেশ করত।

 

জাহাজঘাটার পাশেই ছিল নৌ সেনাপতি ডুডলির নামে নামকরণ হওয়া দুদলী গ্রাম। এখানেই ছিল রাজ্যের নৌকা ও জাহাজ নির্মাণ ও সংরক্ষণের ডকইয়ার্ড। বর্তমানে প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী আসে কালের সাক্ষী এই ঐতিহাসিক নৌদুর্গটি দেখতে।

 

কালিগঞ্জ উপজেলা থেকে শ্যামনগরের পথে মৌতলা পার হলেই খানপুর গ্রামের পথ ধরলেই দেখা মিলবে ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ এই স্থাপনার।


Top